[ad_1]
মঙ্গলাচরণ
রঙনের রঙে রাঙা হয়ে এল শীতের কুহেলি-রাতি, আমের বউলে বাউল হইয়া কোয়েলা খুঁজিছে সাথি। সাথে বসন্ত-সেনা আগে অজানার ঘেরা-টোপে তব চিরজনমের চেনা । পলাশ ফুলের পেয়ালা ভরিয়া পুরিয়া উঠেছে মধু, তব অন্তরে সঞ্চরে আজ সৃজন-দিনের বধূ – উঠিছে লক্ষ্মী ওই তোমার ক্ষুধার ক্ষীরোদ-সাগর মন্থনে সুধাময়ী। হারাবার ছলে চির-পুরাতনে নূতন করিয়া লভি, প্রদোষে ডুবিয়া প্রভাতে উদিছে নিত্য একই রবি। তাই সুন্দর সৃষ্টি একই বরবধূ জনমে জনমে লভে নব শুভদৃষ্টি। আদিম দিনের বধূ তব ওই আবার এসেছে ঘুরে কত গিরিদরি নদী পার হয়ে তব অন্তর-পুরে। কী দিব আশিস ভাই তোমরা যে বাঁধা চির-জনমের – কোথাও বিরহ নাই। না থাকিলে এই একটু বিরহ – এ জীবন হত কারা, দুই তীরে তীরে বিচ্ছেদ তাই মাঝে বহে স্রোত-ধারা। গত জনমের ছাড়াছাড়ি তাই এ মিলন এত মিঠে সেই স্মৃতি লেখা শুভদৃষ্টির সুন্দর চাহনিতে। ওগো আঙিনার সজিনা-সজনি,করো লাজ বরিষন তব পুষ্পিত শাখা নেড়ে সখী, খইয়ে নাই প্রয়োজন। আমের মুকুল আকুল হইয়া ঝরো গো দুকূলে লুটি, বধূর আলতা চরণ-আঘাতে অশোক উঠো গো ফুটি। বাজা শাঁক দে লো হুলু, হারা সতী ফিরে এলে উমা হয়ে – উলু উলু উলু উলু!