হবীবুল্লাহ বাহার-কে

Any Subtitleيونيو 29, 2023

[ad_1]

হবীবুল্লাহ বাহার-কে

হুগলি,
৬-১০-২৫
সকাল

স্নেহাস্পদেষু,

বাহার! তোমার দুখানা চিঠি পেলাম আজকেরটা নিয়ে। উত্তর দিতে পারিনি – তার কারণ আমি বারো তেরো দিন হতে বড্ড অসুস্থ। দেশ-উদ্ধার-কল্পে পাড়া-গাঁয়ে গাঁয়ে ঘুরে পচা পাটের জল আর মশার কামড় খেয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে বাড়ি ফিরি। মধ্যে একদিন অবস্থা যায়-যায় হয়ে উঠেছিল, একদিন ভীষণ রক্তবমন হতে থাকে হঠাৎ, সে দিন সাত-আট আগে।

রক্তবমন বন্ধ হয়েছে, কিন্তু বড়ো দুর্বল – এখনও শয্যাগত। জ্বর আসছিল রোজ, আজ ছেড়েছে। এত রক্ত পড়ত এক একবার, যে নালা দিয়ে জলের মতো বয়ে যেত, যাক, বিপদের ক্ষণ কেটে গেছে। তাছাড়া আমিও এত সহজে – বিছানায় শুয়ে মরতে রাজি নই। আমার অদৃষ্টেও তা লেখা নেই।

নাহার যে কলকাতা এসেছিল তা তো জানতুম না। মা-র সঙ্গে কয়েকদিনই দেখা হয়েছিল, কই তিনিও কিছু বলেননি। তবে আমারও ঝড়ের মতো যাওয়া আসা, হয়তো তিনি বলবার অবসর পাননি।

নাহারকে তার ভাবীও দেখতে চান। ওদের আলাপ হলে খুশি হতাম। যাক, দেখা হয়তো হবেই – অবশ্য নাহার যদি খুব দূরদেশে গিয়ে না পড়ে।

নাহারকে আমাদের প্রাণভরা স্নেহ ও শুভকামনা দিয়ো, তুমিও নিয়ো। আজকাল লিখছে না কেন? আমার হয়ে বকে দিয়ো ওকে। আমাদের মেয়েদের প্রতিভা এমনি করেই বিনষ্ট তলোয়ার। দিনরাত খাপে পোরা থাকলে মরচে ধরে যায়।

আমার শারদীয় সংখ্যা ‘বিজলী’র কবিতাটা (আমার কৈফিয়ত) পড়নি কি? পড়ো ওটা জোগাড় করে।

আমার নতুন কবিতার বই ‘ছায়ানট’ বেরিয়েছে, দিন পনেরো হল। বোধহয় দেখনি। আমি আপাতত আটখানা ‘ছায়ানট’ ও দশখানা করে ‘বিষের বাঁশী’ ও ‘ভাঙ্গার গান’ পাঠিয়ে দেব তোমায় কালকের মধ্যে। ‘অগ্নি-বীণা’ তৃতীয় সংস্করণ মাসখানেক হল বেরিয়েছে তা কলকাতা থেকে আনিয়ে পাঠিয়ে দেব শীগগির।

বিনি সুতোর কথা আমার বিনিগোচর। আমি ও সম্বন্ধে কিছু জানিনে ভাই। ও সম্বন্ধে মাকে জিজ্ঞেস করে পাঠিয়ো। কাপড়ের দরকার বিশেষ অনুভব করিনি, জানিনে কী দরকার। সকলকে দর্জ্জামত সালাম দোওয়া দেবে –

শুভার্থী –
নুরুদা

Leave a comment

Name *
Add a display name
Email *
Your email address will not be published

هذا الموقع يستخدم Akismet للحدّ من التعليقات المزعجة والغير مرغوبة. تعرّف على كيفية معالجة بيانات تعليقك.

arالعربية