রুবাইয়াত্‌-ই-ওমর খৈয়াম – ১৯১-১৯৭ (শেষ)

Any Subtitlejunio 29, 2023

[ad_1]

রুবাইয়াত্‌-ই-ওমর খৈয়াম – ১৯১-১৯৭ (শেষ)

১৯১
আবার যখন মিলবে হেথায় শরাব সাকির আঞ্জামে,
হে বন্ধুদল, একটি ফোঁটা অশ্রু ফেলো মোর নামে!
চক্রাকারে পাত্র ঘুরে আসবে যখন, সাকির পাশ,
পেয়ালা একটি উলটে দিয়ো স্মরণ করে খৈয়ামে!

১৯২
বিশ্ব-দেখা জামশেদিয়া পেয়ালা খুঁজি জীবন-ভর
ফিরনু বৃথাই সাগর গিরি কান্তার বন আকাশ-ক্রোড়।
জানলাম শেষ জিজ্ঞাসিয়া দরবেশ এক মুরশিদে–
জামশেদের সে জামবাটি এই আমার দেহ আত্মা মোর!

১৯৩
আকাশ যেদিন দীর্ণ হবে, আসবে যেদিন ভীম প্রলয়,
অন্ধকারে বিলীন হবে গ্রহ তারা জ্যোতির্ময়,
প্রভু আমার দামন ধরে বলব কেঁদে, ‘হে নিঠুর,
নিরপরাধ মোদের কেন জন্মে আবার মরতে হয়?’

১৯৪
হৃদয় যদি জীবনে হয় জীবনের রহস্যজয়ী,
খোদা কী, তা জানতে পারে মৃত্যুতে সে অবশ্যই।
কিন্তু তুমি থেকেই যদি শূন্য ঠেকে সব কিছুই,
তুমি যখন রইবে না কাল জানবে কী আর শূন্য বই?

১৯৫
খৈয়াম! তোর দিন দুয়েকের এই যে দেহের শামিয়ানা –
আত্মা নামক শাহনশাহের হেথায় ক্ষণিক আস্তানা।
তাম্বুওয়ালা মৃত্যু আসে আত্মা যখন লন বিদায়,
উঠিয়ে তাঁবু অগ্রে চলে; কোথায় সে যায় অ-জানা।

১৯৬
পৌঁছে দিয়ো হজরতেরে খৈয়ামের হাজার সালাম,
শ্রদ্ধাভরে জিজ্ঞাসিয়ো তাঁরে লয়ে আমার নাম –
‘বাদশানবি! কাঁজি খেতে নাই তো নিষেধ শরিয়তে,
কী দোষ করল আঙুর-পানি? করলে কেন তার হারাম?’

১৯৭
তত্ত্ব-গুরু খৈয়ামেরে পৌঁছে দিয়ো মোর আশিস
ওর মতো লোক বুঝল কিনা উলটো করে মোর হদিস!
কোথায় আমি বলেছি যে, সবার তরেই মদ হারাম?
জ্ঞানীর তরে অমৃত এ, বোকার তরে উহাই বিষ!

Deja un comentario

Nombre *
Añadir un nombre para mostrar
Correo electrónico *
Tu correo electrónico no será publicado

Este sitio usa Akismet para reducir el spam. Aprende cómo se procesan los datos de tus comentarios.

es_ESEspañol