Results found:

[ad_1] উপেক্ষিত শক্তির উদ্‌বোধন হে মোর দুর্ভাগা দেশ! যাদের করেছ অপমানঅপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান।-রবীন্দ্রনাথ আজ আমাদের এই নূতন করিয়া মহাজাগরণের দিনে আমাদের সেই শক্তিকে ভুলিলে চলিবে না – ...

[ad_1] ছুতমার্গ একবার এক ব্যঙ্গ-চিত্রে দেখিয়াছিলাম, ডাক্তারবাবু রোগীর টিকি-মূলে স্টেথিস্কোপ বসাইয়া জোর গ্রাম্ভারি চালে রোগ নির্ণয় করিতেছেন! আমাদের রাজনীতির দণ্ডমুণ্ড হর্তা-কর্তা-বিধাতার দলও ...

[ad_1] বাংলা সাহিত্যে মুসলমান আমাদের বাংলার মুসলমান সমাজ যে বাংলা ভাষাকে মাতৃভাষা বলিয়া স্বীকার করিয়া লইয়াছেন এবং অত্যল্পকাল মধ্যে আশাতীতভাবে উন্নতি দেখাইয়াছেন, ইহা সকলেই বলিবেন; এবং আমাদের পক্ষে ...

[ad_1] মুহাজিরিন হত্যার জন্য দায়ী কে? আমরা ইহারই মধ্যে ভুলিয়া যাই নাই হতভাগ্য হাবিবুল্লার হত্যা-বীভৎসতা। আজও মনে পড়ে সেই দিন, যেদিন খবর আসিয়াছিল যে, সামরিক পুলিশের সঙ্গে একদল মুহাজিরিন গোলমাল ...

[ad_1] লোকমান্য তিলকের মৃত্যুতে বেদনাতুর কলিকাতার দৃশ্য(স্মৃতি) আজ মনে পড়ে সেই দিন আর সেই ক্ষণ – বিকাল আড়াইটা যখন কলিকাতার সারা বিক্ষুব্ধ জনসংঘ টাউনহলের খিলাফত-আন্দোলন-সভায় তাহাদের বুকভরা বেদনা ...

[ad_1] ধর্মঘট দেশে একটা প্রবাদ আছে, ‘যে এলো চষে সে রইল বসে, নাড়া-কাটাকে ভাত দাও এক থালা কষে।’ হূলের দংশন-জ্বালা যথেষ্ট থাকলেও কথাটা অক্ষরে অক্ষরে সত্য। স্বয়ং ‘নাড়া-কাটা’ প্রভুরাও এ-কথাটা ভালো ...

[ad_1] ডায়ারের স্মৃতিস্তম্ভ আমাদের হিন্দুস্থান যেমন কীর্তির শ্মশান, বীরত্বের গোরস্থান, তেমনই আবার তাহার বুক অত্যাচারীর আততায়ীর আঘাতে ছিন্নভিন্ন। সেইসব আঘাতের কীর্তিস্তম্ভ বুকে ধরিয়া স্তম্ভিতা এই ...

[ad_1] ‘গেছে দেশ দুঃখ নাই, আবার তোরা মানুষ হ!’ স্বাধীনতা হারাইয়া আমরা যখন আত্মশক্তিতে অবিশ্বাসী হইয়া পড়িলাম এবং আকাশমুখো হইয়া কোন্ অজানা পাষাণ-দেবতাকে লক্ষ করিয়া কেবলই কান্না জুড়িয়া দিলাম, তখন ...

[ad_1] নবযুগ আজ মহাবিশ্বে মহাজাগরণ, আজ মহামাতার মহা আনন্দের দিন, আজ মহামানবতার মধ্যযুগের মহা উদ্‌বোধন! আজ নারায়ণ আর ক্ষীরোদসাগরে নিদ্রিত নন। নরের মাঝে আজ তাঁহার অপূর্ব মুক্তি-কাঙাল বেশ। ওই শোনো, ...

[ad_1] আমি সৈনিক এখন দেশে সেই সেবকের দরকার যে-সেবক সৈনিক হতে পারবে। সেবার ভার নেবে নারী কিংবা সেই পুরুষ, যে-পুরুষের মধ্যে নারীর-করুণা প্রবল। নারীর ভালোবাসা আর পুরুষের ভালোবাসা বিভিন্ন রকমের। ...

[ad_1] পথিক! তুমি পথ হারাইয়াছ? ‘পথিক! তুমি পথ হারাইয়াছ?’ বনানী-কুন্তলা ষোড়শী বনের বুক চিরে বেরিয়ে এসে পথ-হারা পথিককে জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘পথিক! তুমি পথ হারাইয়াছ?’ সেদিন দিশেহারা পথিকের মুখে উত্তর ...

[ad_1] মেয়্ ভুখা হুঁ পাগলি মেয়ের কী খেয়াল উঠল, হঠাৎ দুপুর রাতে ডুকরে কেঁদে উঠল, ‘মেয়্ ভুখা হুঁ!’ মঙ্গল-ঘট গেল ভেঙ্গে, পুরনারীর হাতে শাঁখ আর বাজে না, শাঁখাও গেল টুটে। ভীত শিশু মাকে জড়িয়ে ধরে ...

[ad_1] স্বাগত ‘খোশ-আমদেদ!’ স্বাগত হে দেশবন্ধু! হে বীরেন্দ্র! তোমাদের এই তিমির রাত্রির অবসানে আমরা আমাদের স্বাগত সম্ভাষণ জানাচ্ছি। তোমরা ফিরে এসো এই বাংলার শ্মশানে। জ্বালিয়ে রেখেছি এই শ্মশান-চিতার ...

[ad_1] মোরা সবাই স্বাধীন মোরা সবাই রাজা একবার শির উঁচু করে বলো দেখি বীর, ‘মোরা সবাই স্বাধীন, সবাই রাজা!’ দেখবে অমনি তোমার পূর্ব-পুরুষের রক্ত-মজ্জা-অস্থি দিয়ে গড়া রক্ত-দেউল তাসের ঘরের মতো টুটে ...

[ad_1] তুবড়ি বাঁশির ডাক ওই শোনো –পুব সাগরের পার হতে কোন্ এল পরবাসী।শূন্যে বাজায় ঘন ঘনহাওয়ায় হাওয়ায় শনশনসাপ খেলাবার বাঁশি। বেরিয়ে এসো, বেরিয়ে এসো বিবর থেকে ‘অগ্নি-বরণ নাগ-নাগিনি’ তোমাদের নিযুত ফণা ...

[ad_1] আমরা লক্ষ্মীছাড়ার দল এসো ভাই, পথের সাথি বন্ধুরা আমার, এসো আমাদের লক্ষ্মীছাড়ার দল! আজ শনি এসেছে তোমাদের পোড়া-কপালে বাসি ছাই-এর পাণ্ডুর টিকা পরিয়ে দিতে। এসো আমার লক্ষ্মীছাড়া গৃহহারা ভাইরা! ...

[ad_1] হিন্দু-মুসলমান একদিন গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছিল আমার, হিন্দু-মুসলমান সমস্যা নিয়ে। গুরুদেব বললেন : দ্যাখো, যে ন্যাজ বাইরের, তাকে কাটা যায়, কিন্তু ভিতরের ন্যাজকে কাটবে কে? ...

[ad_1] মন্দির ও মসজিদ ‘মারো শালা যবনদের!’ ‘মারো শালা কাফেরদের!’ – আবার হিন্দু মুসলমানি কাণ্ড বাধিয়া গিয়াছে। প্রথমে কথা-কাটাকাটি, তারপর মাথা-ফাটাফাটি আরম্ভ হইয়া গেল। আল্লার এবং মা কালীর ...

[ad_1] ‘ধূমকেতু’র পথ অনেকেই প্রশ্নের পর প্রশ্ন করছেন, ‘ধূমকেতু’-র পথ কী? সে কী বলতে চায়? এর দিয়ে কোন্ মঙ্গল আসবে ইত্যাদি। নীচে মোটামুটি ‘ধূমকেতু’র পথনির্দেশ করছি। প্রথম সংখ্যায় ধূমকেতুতে ‘সারথির ...

[ad_1] ক্ষুদিরামের মা ক্ষুদিরামের ফাঁসির সময়ের একটা গানে আছে, ক্ষুদিরাম বলছে – আঠারো মাসের পরেজনম নেব মাসির ঘরে, মা গো,চিনতে যদি না পার মাদেখবে গলায় ফাঁসি –একবার বিদায় দে মা ফিরে আসি। সেই ...

[ad_1]

[ad_1] আমার পথ আমার এই যাত্রা হল শুরুওগো কর্ণধার,তোমারে করি নমস্কার। ‘মাভৈঃ বাণীর ভরসা নিয়ে’ ‘জয় প্রলয়ংকর’ বলে ‘ধূমকেতু’কে রথ করে আমার আজ নতুন পথে যাত্রা শুরু হল। আমার কর্ণধার আমি। আমায় পথ দেখাবে ...

[ad_1] রুদ্র-মঙ্গল নিশীথ রাত্রি। সম্মুখে গভীর তিমির। পথ নাই। আলো নাই। প্রলয়-সাইক্লোনের আর্তনাদ মরণ-বিভীষিকার রক্ত-সুর বাজাচ্ছে। তারই মাঝে মাকে আমার উলঙ্গ করে টেনে নিয়ে চলেছে আর চাবকাচ্ছে যে, সে ...

[ad_1] রাজবন্দীর জবানবন্দি আমার উপর অভিযোগ, আমি রাজবিদ্রোহী! তাই আমি রাজকারাগারে বন্দি এবং রাজদ্বারে অভিযুক্ত। একধারে রাজার মুকুট; আরধারে ধূমকেতুর শিখা। একজন রাজা, হাতে রাজদণ্ড; আরজন সত্য, হাতে ...

[ad_1] সাপুড়েকাহিনি সভ্যজগতের সুসমৃদ্ধ জনপদ হইতে বহুদূরে, কখনও ঘননীল শৈলমালার সানুদেশে, ভীষণ নির্জন, দুর্গম অরণ্যের মধ্যে, কখনও বা তরঙ্গ-ফেনিল বঙ্কিম গিরি-নদীর তীরে, দিগন্ত বিস্তীর্ণ প্রান্তরে, ...

[ad_1]

[ad_1] হক সাহেবের হাসির গল্প – দ্বিতীয় গল্প পাড়াগাঁয়ের গরিব মুসলমানদের মধ্যে একজন মোড়ল ছিলেন। তাঁকে সকলে ফকিরজি বলে ডাকত। তিনি দিনরাত আল্লা নাম জিকির করতেন। তাঁর গায়ে সর্বদা থাকত একটি চাদর। সেই ...

[ad_1] বাংলার প্রধানমন্ত্রী ‘অনারেবল’ হক সাহেব যে সুন্দর গল্প বলতে পারেন, তা আগে জানতাম না। তবে তাঁর কথায় কথায় চমৎকার ব্যঙ্গ, রসিকতা ও হাস্যরসের পরিচয় পেয়েছি। সকল শ্রোতাই হাসিতে ঘর পূর্ণ করে তা ...

[ad_1]

[ad_1]

[ad_1] জিনের বাদশা ফরিদপুর জেলায় ‘আরিয়ল খাঁ’ নদীর ধারে ছোট্ট গ্রাম। নাম মোহনপুর। অধিকাংশ অধিবাসীই চাষি মুসলমান। গ্রামের একটেরে ঘরকতক কায়স্থ। যেন ছোঁয়াচের ভয়েই ওরা একটেরে গিয়ে ঘর তুলেছে। তুর্কি ...

[ad_1] পদ্ম-গোখরো রসুলপুরের মির সাহেবদের অবস্থা দেখিতে দেখিতে ফুলিয়া ফাঁপাইয়া উঠিল। লোকে কানাঘুষা করিতে লাগিল, তাহারা জিনের বা যক্ষের ধন পাইয়াছে। নতুবা এই দুই বৎসরের মধ্যে আলাদিনের প্রদীপ ব্যতীত ...

[ad_1] দুরন্ত পথিক [কথিকা] সে চলিতেছিল দুর্গম কাঁটা-ভরা পথ দিয়ে। পথ চলিতে চলিতে সে একবার পিছন ফিরিয়া দেখিল, লক্ষ আঁখি অনিমিষে তাহার দিকে চাহিয়া আছে। সে-দৃষ্টিতে আশা-উন্মাদনার ভাস্বর জ্যোতি ...

[ad_1]

[ad_1] সালেক [ ক ] আজকার প্রভাতের সঙ্গে শহরে আবির্ভূত হয়েছেন এক অচেনা দরবেশ। সাগরমন্থনের মতো হুজুগে লোকের কোলাহল উঠেছে পথে, ঘাটে, মাঠে, – বাইরের সব জায়গায়। অন্তঃপুরচারিণী অসূর্যম্পশ্যা জেনানাদের ...

[ad_1] রাক্ষুসি (বীরভূমের বাগদিদের ভাষায়) [ ক ] আজ এই পুরো দুটো বছর ধরে, ভাবছি, শুধু ভাবছি, – আর সবচেয়ে আশ্চয্যি হচ্ছি, লোকে আমাকে দেখলেই এমন করে ছুটে পালায় কেন! পুরুষেরা, যাঁরা সব পর্দার-আড়ালে ...

[ad_1] সাঁঝের তারা সাঁঝের তারার সাথে যেদিন আমার নতুন করে চেনা-শোনা, সে এক বড়ো মজার ঘটনা। আরব-সাগরের বেলার ওপরে একটি ছোট্ট পাহাড়। তার বুক রংবেরং-এর শাঁখের হাড়ে ভরা। দেখে মনে হয়, এটা বুঝি একটা ...

[ad_1] মেহের-নেগার [ ক ] ঝিলম্ বাঁশি বাজছে, আর এক বুক কান্না আমার গুমরে উঠছে। আমাদের ছাড়াছাড়ি হল তখন, যখন বৈশাখের গুমোটভরা উদাস-মদির সন্ধ্যায় বেদনাতুর পিলু-বারোঁয়া রাগিণীর ক্লান্ত কান্না হাঁপিয়ে ...

[ad_1] বাউন্ডেলের আত্মকাহিনি [ ক ] [বাঙালি পলটনের একটি বওয়াটে যুবক আমার কাছে তাহার কাহিনি বলিয়াছিল নেশার ঝোঁকে : নীচে তাহাই লেখা হইল। সে বোগদাদে গিয়া মারা পড়ে –] “কি ভায়া! নিতান্তই ছাড়বে না? একদম ...

[ad_1] রিক্তের বেদন [ ক ] বীরভূম আঃ! একী অভাবনীয় নতুন দৃশ্য দেখলুম আজ? … জননী জন্মভূমির মঙ্গলের জন্যে সে-কোন্-অদেখা-দেশের আগুনে প্রাণ আহুতি দিতে একী অগাধ-অসীম উৎসাহ নিয়ে ছুটছে তরুণ বাঙালিরা, – ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ২৮ (শেষ) ভাই বুঁচি, আমি যদি আজ আমার পরিচয় দিই-আমি তোদের সেই রুবি, তাহলে বিশ্বাস করবি? আমার বাপ মাও জানেন আর তোরাও হয়তো জানিস, আমি মরেছি! অথবা যদি না মরে থকি, তাহলে আমার মরণই ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ২৭ পাড়ার প্রায় শতাধিক ক্ষুধাতুর শিশুকে পরিপাটি করে মেজোবউ খাইয়ে-দাইয়ে বিদায় করে যখন লতিফার বাড়ি এসে দাঁড়াল, তখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। বাইরে রুবির প্রকাণ্ড মোটরকার দাঁড়িয়ে। কী ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ২৬ পাড়ার লোকে মেজোবউকে দেখলেই বলে, “ও রাক্ষুসি! ওর বুকে শুধু লোহা আর পাথর!” খোকা চলে গেছে। মেয়ে পটলিকে নিয়ে মেজোবউ আবার আগের মতো পান খেয়ে রেশমি চুড়ি পরে, বাঁকা সিঁথি কেটে, ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ২৫ মেজোবউ ঝড়ের মতো প্যাঁকালের ঘরে এসে ডেকে উঠল, ‘কুর্শি’! মেজোবউয়ের এমনতর স্বর কুর্শি কখনও শুনে নাই। সে ভয় পেয়ে বেরিয়ে এসে দাঁড়াতেই মেজেবিউ বললে, “কী চিঠি এসেছে দেখি!” ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ২৪ বরিশাল। বাংলার ভিনিস! আঁকাবাঁকা লাল রাস্তা। শহরটিকে জড়িয়ে ধরে আছে ভুজ-বন্ধের মতো করে। রাস্তার দু-ধারে ঝাউগাছের সারি। তারই পাশে নদী। টলমল টলমল করছে – বোম্বাই শাড়ি-পরা ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ২৩ বহুদিন পরে লতিফার মুখে হাসি দেখা দিল। নাজির সাহেব অফিস থেকে এসেই ঘুমন্ত লতিফাকে তুলে বললেন, ‘ওগো, শুনেছ? রুবির যে নদিয়ার ডিস্ট্রিক্ট-ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে এলেন!” এক নিমেষে ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ২২ সেই মাটির পুতুলের কৃষ্ণনগর! সেই ধুলা-কাদার চাঁদ-সড়ক! শুধু সড়কই আছে, চাঁদ নেই! সবাই বলে, দুদিনের জন্য চাঁদ উঠেছিল, রাহুতে গ্রাস করেছে! বলেই আশেপাশে তাকায়। “বিশ্বাসং নৈব ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ২১ পরদিন সকালে না হতেই কৃষ্ণনগরে একটা হইচই পড়ে গেল! দলে দলে পুলিশ এসে কৃষ্ণনগরের বিভিন্ন বাড়িতে খানাতল্লাশ করতে লাগল। বহু ছাত্র ও তরুণকে হাজতে পুরল। আনসারকে ধরবার জন্যে ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ২০ পরদিন যখন সন্ধ্যায় অন্ধকার বেশ গাঢ় হয়ে এসেছে তখন মেজোবউ গায়ে বেশ করে চাদর জড়িয়ে নাজির সাহেবের বাড়ির দিকে চলতে লাগল। কীসের যেন ভয়, কীসের যেন লজ্জা তার পা দুটোকে কিছুতেই ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ১৯ চাঁদসড়কে সেদিন ভীষণ একটা হইচই পড়ে গেল, মেজোবউ তার ছেলেমেয়ে নিয়ে খ্রিস্টান হয়ে গেছে। সত্যি-সত্যিই সে খ্রিস্টান হয়ে গেছে। তবে তার একটু ইতিহাসও আছে। মেজোবউ কিছুদিন থেকে ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ১৮ এরপর দু তিন দিন কেটে গেছে। এবং এই দু তিন দিন আনসার গোরুর গাড়ির গাড়োয়ান, ঘোড়ার গাড়ির কোচোয়ান, রাজমিস্ত্রি, কুলি-মজুর, মেথর প্রভৃতিদের নিয়ে টাউনে একটা রীতিমতো হুলস্থুল ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ১৭ শেষের দিকটায় আনসার যেন কেমন অভিভূত হয়ে পড়ল। তারপর একটু সামলে নিয়ে বলতে লাগল, “আমি এখানে কেন এসেছি জানিস? জেল থেকে ফিরে এসে অবধি আমার রাজনৈতিক মতও বদলে গেছে। আমি এখন..” ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ১৬ চা খাওয়া হলে পর লতিফা বলে, “দাদু, তুমি তোমার ওই কাবলিওয়ালার পোশাক খুলে ফেল দেখি। কী বিশ্রী দেখাচ্ছে! মাগো! ওই ময়লা গদ্ধর পরে থাক কী করে তাই ভাবছি! আনসার হেসে বললে, “গদ্ধর ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ১৫ চাঁদ-সড়কে সেদিন বেশ একটু চাঞ্চল্যের সাড়া পড়ে গেল। লক্ষীছাড়া-মতো চেহারার লম্বা-চওড়া একজন মুসলমান যুবক কোত্থেকে এসে সোজা নাজির সাহেবের বাসায় উঠল। নাজির সাহেব কৃষ্ণনগরে সবে ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ১৪ পরদিন সকালে কেউ উঠবার আগেই মেজোবউ তার ছেলেমেয়েকে নিয় মিস জোন্সের কাছে চলে গেল। যাওয়ার আগে শুধু বড়োবউকে চুপি চুপি বলে গেল, “শাশুড়ি বিশেষ পীড়াপীড়ি করলে বাপের বাড়ি গেছি ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ১৩ সেজোবউয়ের খোকাকেও আর বাঁচানো গেল না। মাতৃহারা নীড়-ত্যক্ত বিহগ-শিশু যেমন করে বিশুষ্ক চঞ্চু হাঁ করে ধুঁকতে থাকে, তেমনই করে ধুঁকে– মাতৃস্তন্যে চিরবঞ্চিত শিশু! মেজোবউয়ের ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ১২ একদিকে মৃত্যু, একদিকে ক্ষুধা। সেজোবউ আর তার ছেলেকে বাঁচাতে পারা গেল না। ওর শুশ্রূষা যেটুকু করেছিল সে শুধু ওই মেজোবউ আর ওষুধ দিয়েছিল মেম সায়েব – রোমান ক্যাথলিক মিশনারি। ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ১১  “ঝড় আসে নিমেষের ভুলে।” জীবনের কোন পথ দিয়ে কখন বিপর্যয় আসে, মুহূর্তের জন্যে – নিমেষে সব ওলট-পালট করে দিয়ে যায় –বন্ধনের দড়াদড়ি কখন যায় টুটে, –কেউ জানে না। ‍এক দিঘি ফোটা ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ১০ সেদিন রবিবার। ছুটি। প্যাঁকলের গোটা দুয়েকের সময় স্নান করতে বেরুল। বেরুবার আগে তেলের শূন্য শিশিরটা অনেকক্ষণ ধরে উলটে রাখলে হাতের তালুর উপর। মিনিট পাঁচেকে ফোঁটা পাঁচেক তেল ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ০৯ সেদিন বড়োবউ, প্যাঁকালে, তার মা আর পাঁচিতে মিলে একটা গোপন পরামর্শসভা বসেছিল। প্যাঁকালের অতিমাত্রায উত্তেজিত হয়ে বললে, “আমি তা কখনও পারব না। আমি কালই চললাম রানাঘাট। সেখেনে ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ০৮ সেদিন ঘিয়াসুদ্দিন শ্বশুরবাড়ি এসেছে। মেজোবউও বোনাইকে দেখলতে এসেছে। ও-ই এসেছে কিংবা ওর বোনাই-ই আনিয়েছে – এই দুটোর একটা-কিছু হবে। আগুন আর সাপ নিয়ে খেলা করতেই যেন ওর সাধ। ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ০৬ হঠাৎ সেদিন সেজোবউয়ের অবস্থা একেবারে যায়-যায় হয়ে উঠল। ‘ছিটেন’পাড়ার নকড়ি ডাক্তার তাঁর বৈঠকখানাটা বিনি পয়সায় চুনকাম করে দেওয়ার চুক্তিতে দেখতে এলেন। বললেন, “গরিব লোক তোরা, ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ০৫ সন্ধে হব-হব সময় প্যাঁকালে হাতে চাল-ডাল, বগলতলায় ফুটগজ, পকেটে কন্নিকসুত, আর মুখে পান ও বিড়ি নিয়ে ঘরে ঢুকল। ছেলেমেয়ে তাকে যেন ছেঁকে ধরল। চাল-ডালের মধ্যে একটা বোয়াল মাছ দেখে ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ০৪ প্যাঁকালে চলে যাওয়ার পরই তার দ্বাদশটি ক্ষুধার্ত ভাইপো-ভাইঝি মিলে বিচিত্র সুরে ‘ফরিয়াদ’করতে লাগল ক্ষুধার তাড়নায়, তাতে অন্নের মালিক যিনি, তিনি এবং পাষাণ ব্যতীত বুঝি আর ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ০৭ দিন যায়, দিন আসে, আবার দিন যায়। এরই মধ্যে একদিন গজালের মা চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে ঘরে ঢুকে একেবারেই মেজোবউয়ের পায়ের ওপর পড়ে মাথামুড়ো খুঁড়তে লাগল। সঙ্গে সঙ্গে গালি, ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ০২ গজালের মা-র ছোটোছেলে প্যাঁকালে টাউনের থিয়েটার-দলে নাচে, সখী সাজে, গান করে। কাজও করে –রাজমিস্তিরির কাজ। বাবু-ঘেঁষা হয়ে সেও একটু বাবু-গোছ হয়ে গেছে। তেড়ি কাটে, ‘ছিকরেট’টানে, ...

[ad_1] কুহেলিকা – ২০ (শেষ) বজ্রপাণি, প্রমত্ত প্রভৃতির সাথে জাহাঙ্গীরেরও দ্বীপান্তর হইল। তাহার সত্যকার নাম প্রকাশ পাইল না। জাহাঙ্গীর তাহার নাম বলিয়াছিল স্বদেশকুমার। সেই নামেই তাহার শাস্তি হইয়া ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ০৩ এই সব ব্যাপারে কাজে যেতে সেদিন প্যাঁকালের বেশ একটু দেরি হয়ে গেল। তারই জুড়িদার আরও জন তিন-চার রাজমিস্তিরি এসে তাকে ডাকাডাকি আরম্ভ করে দিলে। প্যাঁকালে না খেয়েই তার ...

[ad_1] কুহেলিকা – ১৯ এদিকে জাহাঙ্গীরের মাতা হাওড়া স্টেশনে পঁহুছিয়া জাহাঙ্গীর ও চম্পাকে দেখিতে না পাইয়া এবং হারুণের কাছে সমস্ত শুনিয়া মাথায় হাত দিয়া বসিয়া পড়িলেন। ভূণীর মুখে কে যেন কালি ঢালিয়া ...

[ad_1] কুহেলিকা – ১৮ গাড়ি বর্ধমানে আসিয়া পঁহুচিতেই কাহাদের চঞ্চল স-বুট পদশব্দে জাহাঙ্গীরের ঘুম ভাঙিয়া গেল। জাহাঙ্গীর উঠিয়া দেখিল, সকলে ঘুমাইয়া গিয়াছে। রাত্রি কতটা হইবে তাহা সে আন্দাজ করিতে পারিল ...

[ad_1] কুহেলিকা – ১৭ স্টেশনে পঁহুছিয়াই জাহাঙ্গীর দেখিল, সারা গায়ে ভস্ম-বিভূতি মাখা জটাজূটধারী এক পৌনে-ষোলো-আনা নাগা সন্ন্যাসী তাহার চিমটার ইঙ্গিতে তাহাকে যেন আহ্বান করিল। জাহাঙ্গীর দেখিল ...

[ad_1] কুহেলিকা – ১৬ সকালে উঠিয়া ভূণীর মনে হইল, তাহার সকল দর্পের অবসান হইয়াছে। আজ সে পথের ভিখারিনি। দুই হাত পাতিয়া এখন তাহাকে ভিক্ষার তণ্ডুলকণা গ্রহণ করিতে হইবে। কালও সে মনে করিয়াছিল, যত বড়ো ...

[ad_1] কুহেলিকা – ১৫ বর্ধমান স্টেশনে নামিয়া জাহাঙ্গীর মউলবি সাহেবকে লইয়া ‘রিফ্রেশমেন্ট রুমে’ ঢুকিয়া পড়িল। সৌভাগ্যবশত তাহারা দুই জন ছাড়া আর কেহ সেখানে ছিল না। মউলবি সাহেব বলিলেন, ‘মামারা এখনও ...

[ad_1] কুহেলিকা – ১৪ জাহাঙ্গীর সুখ ও দুঃখের নানা স্বপ্ন দেখিতে দেখিতে কখন ঘুমাইয়া পড়িয়াছিল। জাগিয়া দেখিল, তাহার মাতা শিয়রে বসিয়া অতন্দ্রনয়নে তাহার পানে চাহিয়া আছেন। সে চোখ মেলিতেই মা বলিয়া ...

[ad_1] কুহেলিকা – ১৩ জাহাঙ্গীর আসিয়া পৌঁছাইতেই তাহার মাতা একেবারে তাহাকে বুকে জড়াইয়া কাঁদিয়া ফেলিলেন, ‘খোকা, এ কী চেহারা হয়েছে তোর?’ জাহাঙ্গীর কিছু না বলিয়া মায়ের কোলে মাথা রাখিয়া শুইয়া পড়িল। ...

[ad_1] কুহেলিকা – ১২ জাহাঙ্গীর কলিকাতা ফিরিয়া আসিয়াই দেখে দুই তিনখানা টেলিগ্রাম আসিয়া পড়িয়া আছে। একখানা দেওয়ানজির, দুইখানা তাহার মায়ের প্রেরিত। পর পর দুইখানা টেলিগ্রাম করিয়াও তাহার উত্তর না পাইয়া ...

[ad_1] কুহেলিকা – ১১ জাহাঙ্গীরের জীবনে এই প্রথম গোরুর গাড়ির অভিজ্ঞতা। জাহাঙ্গীর যখন বলিল, সে কিছুতেই তাহার বোঝা আর এক জন মানুষের অর্থাৎ কুলির মাথায় চড়াইয়া দিয়া তাহার অবমাননা করিবে না, বরং সে ...

[ad_1] কুহেলিকা – ১০ সন্ধ্যার পূর্বেই জাহাঙ্গীর গোরুর গাড়িতে চড়িয়া শিউড়ি চলিয়া গেল। সন্ধ্যার বিষণ্ণতা এমন করিয়া বুঝি আর কখনও নামে নাই হারুণদের বাড়িতে। ভূণীর যখন জ্ঞান হইল, তখন তাহার সর্বপ্রথম এই ...

[ad_1] কুহেলিকা – ০৮ পরদিন অসহ্য গরমে অতি প্রত্যুষেই জাহাঙ্গীরের ঘুম ভাঙিয়া গেল। সে উঠিয়াই বাহিরবাটী হইতে হারুণকে চিৎকার করিয়া ডাকাডাকি আরম্ভ করিয়া দিল। হারুণ ঘুম-বিজড়িত চক্ষে উঠিয়া আসিয়া ...

[ad_1] কুহেলিকা – ০৯ কালবৈশাখীর মেঘ এমনি করিয়াই দেখা দেয়। যেখানে দুঃখের বরষা, বজ্রপাতও হয় সেইখানেই। শান্ত নদীতীরে তারও চেয়ে শান্ত ভগ্নকুটির এমনি করিয়াই কোনো এক দুর্যোগের নিশীথে ভাসিয়া যায়! দুঃখ ...

[ad_1] কুহেলিকা – ০৬ শিউড়ি যখন তাহারা পঁহুছিল, তখন রাত্রি বেশ ঘনাইয়া আসিয়াছে। হারুণ বলিল, ‘এখন, কী করা যায় বলো তো? এখানেই রাত্রিটা কাটিয়ে দেবে না শহরে যাবে! শহরে আমার এক দূর-সম্পর্কীয় আত্মীয় ...

[ad_1] কুহেলিকা – ০৫ গ্রীষ্মের ছুটি হইয়া গিয়াছে। ছাত্রদের যৌবনোন্মুখ মন অকারণ সুখে কানায় কানায় পুরিয়া উঠিয়াছে। তাহারা আজ তাহাদের সুদূর পল্লির নব-মুকুলিত আম্রবীথির গন্ধস্বপন দেখিতেছে। হারুণ বাড়ি ...

[ad_1] কুহেলিকা – ০৪ স্বদেশমন্ত্রে দীক্ষা লওয়ার কয়েক মাস পরেই জাহাঙ্গীরের পিতা খান বাহাদুর ফররোখ সাহেবের হৃদরোগে মৃত্যু হইল। জাহাঙ্গীর তখন পঞ্চদশ বর্ষীয় বালক, সবেমাত্র সেকেন্ড ক্লাস হইতে ফার্স্ট ...

[ad_1] কুহেলিকা – ০৩ তখন স্বদেশযুগের বান ডাকিয়াছে। ইংরেজ তাহার রাজত্ব ভাসিয়া যাওয়ার ভয় না করিলেও ডুবিয়া যাওয়ার আশঙ্কা একটু অতিরিক্ত করিয়াই করিতেছিল। ঘরের ঘটিবাটি সে সামলাইতেছিল না বটে, কিন্তু ...

[ad_1] কুহেলিকা – ০২ মেসে যা-ই বলিয়া ডাকুক, আমরা উলঝলুলকে জাহাঙ্গীর বলিয়াই ডাকিব। জাহাঙ্গীরের পৈতৃক বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। তবে সে কলিকাতায় থাকিয়াই মানুষ হইয়াছে। তাহার পিতা ছিলেন কুমিল্লার একজন ...

[ad_1] কুহেলিকা – ০৭ ভোর না হইতেই একটা দুরন্ত কোকিলের ডাকে হারুণের ঘুম ভাঙিয়া গেল। সারারাত্রি সে নেশাখোরের মতো ঘুমাইয়াছে, পাশ পর্যন্ত ফিরে নাই। কত সুখের, কত বেদনার যেসব স্বপন সে সারারাত্রি ভরিয়া ...

[ad_1] দেশ ।। কাওয়ালি বহিছে সাহারায় শোকের 'লু' হাওয়া দুলে অসীম আকাশ আকুল রোদনে। নূহের প্লাবন আসিল ফিরে যেন ঘোর অশ্রু শ্রাবণ-ধারা ঝরে সঘনে।। হায় হোসেনা হায় হোসেনা বলি' কাঁদে গিরি দরি মরু বনস্থলী ...

[ad_1] এল শোকের সেই মোহররম কারবালার স্মৃতি লয়ে। আজি বে-তাব বিশ্ব-মুসলিম সেই শোকে রোয়ে রোয়ে।। মনে পড়ে আসগরে আজ পিয়াসা দুশের বাচ্চায় পানি চাহিয়া পেল শাহাদাত হোসেনের বক্ষে রয়ে।। এক হাতে ...

[ad_1] শুকনো পাতার নূপুর পায়ে নাচিছে ঘুর্ণিবায়। জল তরঙ্গে ঝিলমিল ঝিলমিল ঢেউ তুলে সে যায়।। দীঘির বুকের শতদল দলি, ঝরায়ে বকুল চাঁপার কলি, চঞ্চল ঝরনার জল ছলছলি মাঠের পথে সে ধায়।। বন-ফুল-আভরণ ...

[ad_1] রাগ: সিন্ধু–কাফি ।। তাল: লাউনি গুল-বাগিচার বুলবুলি আমিরঙিন প্রেমের গাই গজল!অনুরাগের লাল শারাব মোরচোখে ঝলে ঝলমল।। আমার গানের মদির ছোঁওয়ায়গোলাপ কুঁড়ির ঘুম টুটে যায়,সে গান শুনে ...

[ad_1] তিলক-কামোদ ।। রূপক ।। ভালোবাসার ছলে আমায় তোমার নাম গাওয়ালে।চাঁদের মতন সুদূর থেকে সাগরে মোর দোল খাওয়ালে।। কাননে মোর ফুল ফুটিয়ে উড়ে গেলে গানের পাখি,যুগে যুগে আমায় তুমি এমনি করে পথ চাওয়ালে।। ...

[ad_1] বল রে জবা বল।কোন সাধনায় পেলি শ্যামা মায়ের চরণতল।। মায়া–তরুর বাঁধন টুটেমায়ের পায়ে পড়লি লটেমুক্তি পেলি, উঠলি ফুটে আনন্দ–বিহ্বল!তোর সাধনা আমায় শেখা, জবা, জীবন হোক সফল।। কোটি গন্ধ ...

[ad_1] গানগুলি মোর আহত পাখির সম লুটাইয়া পড়ে তব পায় প্রিয়তম।। বাণ বেধা মোর গানের পাখিরে তু’লে নিও প্রিয় তব বুকে ধীরে, লভিবে মরণ চরণে তোমার সুন্দর অনুপম।। তারা সুখের পাখায় উড়িতেছিল গো নভে, তব নয়ন ...

[ad_1] দিকে দিকে পুন জ্বলিয়া উঠেছে দীন-ই-ইসলামী লাল মশাল। ওরে বে-খবর, তুইও ওঠ্‌ জেগে, তুইও তোর প্রাণ-প্রদীপ জ্বাল।। গাজী মুস্তফা কামালের সাথে জেগেছে তুর্কী সুর্খ-তাজ, রেজা পহ্‌লবী-সাথে জাগিয়াছে ...

[ad_1] কেন প্রাণ ওঠে কাঁদিয়া কাঁদিয়া কাঁদিয়া কাঁদিয়া গো। আমি যত ভুলি ভুলি করি তত আঁকড়িয়া ধরি, তত মরি সাধিয়া, সাধিয়া সাধিয়া সাধিয়া গো! (শ্যামের সে রূপ ভোলা কি যায় নিখিল শ্যামল যার শোভায় ...

[ad_1] কেন কাঁদে পরান কী বেদনায় কারে কহি। সদা কাঁপে ভীরু হিয়া রহি রহি।। সে থাকে নীল নভে আমি নয়ন-জল-সায়রে সাতাশ তারার সতিন-সাথে সে যে ঘুরে মরে, কেমনে ধরি সে চাঁদে রাহু নহি ।। কাজল করি যারে ...

[ad_1] ভুলি কেমনে আজো যে মনে বেদনা-সনে রহিল আঁকা আজো সজনী দিন রজনী সে বিনে গনি সকলি ফাঁকা।। আগে মন করলে চুরি মর্ম্মে শেষে হানলে ছুরি, এত শঠতা এত যে ব্যথা তবু যেন তা মধুতে মাখা।। চকোরী দেখলে চাঁদে ...

[ad_1] বসিয়া বিজনে কেন একা মনে পাণিয়া ভরণে চল লো গোরী চল জলে চল কাঁদে বনতল, ডাকে ছলছল জল-লহরী।। দিন চলে যায় বলাকা-পাখায়, বিহগের বুকে বিহগী লুকায়! কেঁদে চখা-চখি মাগিছে বিদায় বারোয়ার সুরে ...

[ad_1] আমারে চোখ-ইশারায় ডাক দিলে হায় কে গো দরদি।খুলে দাও রঙ-মহলার তিমির-দুয়ার ডাকিলে যদি।। গোপনে চৈতী হাওয়ায় গুল্‌-বাগিচায় পাঠালে লিপি,দেখে তাই ডাকছে ডালে কু কু বলে কোয়েলা ননদী।। পাঠালে ...

[ad_1] বাগিচায় বুলবুলি তুই ফুলশাখাতে দিসনে আজি দোল। আজো তার ফুল কলিদের ঘুম টুটেনি তন্দ্রাতে বিলোল।। আজো হায় রিক্ত শাখায় উত্তরী বায় ঝুরছে নিশিদিন, আসেনি দখনে হাওয়া গজল গাওয়া মৌমাছি বিভোল।। কবে সে ...