Song Lyrics

[ad_1] ধর্মঘট দেশে একটা প্রবাদ আছে, ‘যে এলো চষে সে রইল বসে, নাড়া-কাটাকে ভাত দাও এক থালা কষে।’ হূলের দংশন-জ্বালা যথেষ্ট থাকলেও কথাটা অক্ষরে অক্ষরে ...

[ad_1] ডায়ারের স্মৃতিস্তম্ভ আমাদের হিন্দুস্থান যেমন কীর্তির শ্মশান, বীরত্বের গোরস্থান, তেমনই আবার তাহার বুক অত্যাচারীর আততায়ীর আঘাতে ছিন্নভিন্ন। ...

[ad_1] ‘গেছে দেশ দুঃখ নাই, আবার তোরা মানুষ হ!’ স্বাধীনতা হারাইয়া আমরা যখন আত্মশক্তিতে অবিশ্বাসী হইয়া পড়িলাম এবং আকাশমুখো হইয়া কোন্ অজানা ...

[ad_1] নবযুগ আজ মহাবিশ্বে মহাজাগরণ, আজ মহামাতার মহা আনন্দের দিন, আজ মহামানবতার মধ্যযুগের মহা উদ্‌বোধন! আজ নারায়ণ আর ক্ষীরোদসাগরে নিদ্রিত নন। নরের ...

[ad_1] আমি সৈনিক এখন দেশে সেই সেবকের দরকার যে-সেবক সৈনিক হতে পারবে। সেবার ভার নেবে নারী কিংবা সেই পুরুষ, যে-পুরুষের মধ্যে নারীর-করুণা প্রবল। ...

[ad_1] পথিক! তুমি পথ হারাইয়াছ? ‘পথিক! তুমি পথ হারাইয়াছ?’ বনানী-কুন্তলা ষোড়শী বনের বুক চিরে বেরিয়ে এসে পথ-হারা পথিককে জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘পথিক! তুমি ...

[ad_1] মেয়্ ভুখা হুঁ পাগলি মেয়ের কী খেয়াল উঠল, হঠাৎ দুপুর রাতে ডুকরে কেঁদে উঠল, ‘মেয়্ ভুখা হুঁ!’ মঙ্গল-ঘট গেল ভেঙ্গে, পুরনারীর হাতে শাঁখ আর বাজে ...

[ad_1] স্বাগত ‘খোশ-আমদেদ!’ স্বাগত হে দেশবন্ধু! হে বীরেন্দ্র! তোমাদের এই তিমির রাত্রির অবসানে আমরা আমাদের স্বাগত সম্ভাষণ জানাচ্ছি। তোমরা ফিরে এসো ...

[ad_1] মোরা সবাই স্বাধীন মোরা সবাই রাজা একবার শির উঁচু করে বলো দেখি বীর, ‘মোরা সবাই স্বাধীন, সবাই রাজা!’ দেখবে অমনি তোমার পূর্ব-পুরুষের ...

[ad_1] তুবড়ি বাঁশির ডাক ওই শোনো –পুব সাগরের পার হতে কোন্ এল পরবাসী।শূন্যে বাজায় ঘন ঘনহাওয়ায় হাওয়ায় শনশনসাপ খেলাবার বাঁশি। বেরিয়ে এসো, বেরিয়ে এসো ...

[ad_1] আমরা লক্ষ্মীছাড়ার দল এসো ভাই, পথের সাথি বন্ধুরা আমার, এসো আমাদের লক্ষ্মীছাড়ার দল! আজ শনি এসেছে তোমাদের পোড়া-কপালে বাসি ছাই-এর পাণ্ডুর টিকা ...

[ad_1] হিন্দু-মুসলমান একদিন গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছিল আমার, হিন্দু-মুসলমান সমস্যা নিয়ে। গুরুদেব বললেন : দ্যাখো, যে ন্যাজ বাইরের, ...

[ad_1] মন্দির ও মসজিদ ‘মারো শালা যবনদের!’ ‘মারো শালা কাফেরদের!’ – আবার হিন্দু মুসলমানি কাণ্ড বাধিয়া গিয়াছে। প্রথমে কথা-কাটাকাটি, তারপর ...

[ad_1] ‘ধূমকেতু’র পথ অনেকেই প্রশ্নের পর প্রশ্ন করছেন, ‘ধূমকেতু’-র পথ কী? সে কী বলতে চায়? এর দিয়ে কোন্ মঙ্গল আসবে ইত্যাদি। নীচে মোটামুটি ...

[ad_1] ক্ষুদিরামের মা ক্ষুদিরামের ফাঁসির সময়ের একটা গানে আছে, ক্ষুদিরাম বলছে – আঠারো মাসের পরেজনম নেব মাসির ঘরে, মা গো,চিনতে যদি না পার মাদেখবে ...

[ad_1]

[ad_1] আমার পথ আমার এই যাত্রা হল শুরুওগো কর্ণধার,তোমারে করি নমস্কার। ‘মাভৈঃ বাণীর ভরসা নিয়ে’ ‘জয় প্রলয়ংকর’ বলে ‘ধূমকেতু’কে রথ করে আমার আজ নতুন ...

[ad_1] রুদ্র-মঙ্গল নিশীথ রাত্রি। সম্মুখে গভীর তিমির। পথ নাই। আলো নাই। প্রলয়-সাইক্লোনের আর্তনাদ মরণ-বিভীষিকার রক্ত-সুর বাজাচ্ছে। তারই মাঝে মাকে ...

[ad_1] রাজবন্দীর জবানবন্দি আমার উপর অভিযোগ, আমি রাজবিদ্রোহী! তাই আমি রাজকারাগারে বন্দি এবং রাজদ্বারে অভিযুক্ত। একধারে রাজার মুকুট; আরধারে ...

[ad_1] সাপুড়েকাহিনি সভ্যজগতের সুসমৃদ্ধ জনপদ হইতে বহুদূরে, কখনও ঘননীল শৈলমালার সানুদেশে, ভীষণ নির্জন, দুর্গম অরণ্যের মধ্যে, কখনও বা তরঙ্গ-ফেনিল ...

[ad_1]

[ad_1] হক সাহেবের হাসির গল্প – দ্বিতীয় গল্প পাড়াগাঁয়ের গরিব মুসলমানদের মধ্যে একজন মোড়ল ছিলেন। তাঁকে সকলে ফকিরজি বলে ডাকত। তিনি দিনরাত আল্লা নাম ...

[ad_1] বাংলার প্রধানমন্ত্রী ‘অনারেবল’ হক সাহেব যে সুন্দর গল্প বলতে পারেন, তা আগে জানতাম না। তবে তাঁর কথায় কথায় চমৎকার ব্যঙ্গ, রসিকতা ও হাস্যরসের ...

[ad_1]

[ad_1]

[ad_1] জিনের বাদশা ফরিদপুর জেলায় ‘আরিয়ল খাঁ’ নদীর ধারে ছোট্ট গ্রাম। নাম মোহনপুর। অধিকাংশ অধিবাসীই চাষি মুসলমান। গ্রামের একটেরে ঘরকতক কায়স্থ। যেন ...

[ad_1] পদ্ম-গোখরো রসুলপুরের মির সাহেবদের অবস্থা দেখিতে দেখিতে ফুলিয়া ফাঁপাইয়া উঠিল। লোকে কানাঘুষা করিতে লাগিল, তাহারা জিনের বা যক্ষের ধন পাইয়াছে। ...

[ad_1] দুরন্ত পথিক [কথিকা] সে চলিতেছিল দুর্গম কাঁটা-ভরা পথ দিয়ে। পথ চলিতে চলিতে সে একবার পিছন ফিরিয়া দেখিল, লক্ষ আঁখি অনিমিষে তাহার দিকে চাহিয়া ...

[ad_1]

[ad_1] সালেক [ ক ] আজকার প্রভাতের সঙ্গে শহরে আবির্ভূত হয়েছেন এক অচেনা দরবেশ। সাগরমন্থনের মতো হুজুগে লোকের কোলাহল উঠেছে পথে, ঘাটে, মাঠে, – বাইরের ...

[ad_1] রাক্ষুসি (বীরভূমের বাগদিদের ভাষায়) [ ক ] আজ এই পুরো দুটো বছর ধরে, ভাবছি, শুধু ভাবছি, – আর সবচেয়ে আশ্চয্যি হচ্ছি, লোকে আমাকে দেখলেই এমন করে ...

[ad_1] সাঁঝের তারা সাঁঝের তারার সাথে যেদিন আমার নতুন করে চেনা-শোনা, সে এক বড়ো মজার ঘটনা। আরব-সাগরের বেলার ওপরে একটি ছোট্ট পাহাড়। তার বুক ...

[ad_1] মেহের-নেগার [ ক ] ঝিলম্ বাঁশি বাজছে, আর এক বুক কান্না আমার গুমরে উঠছে। আমাদের ছাড়াছাড়ি হল তখন, যখন বৈশাখের গুমোটভরা উদাস-মদির সন্ধ্যায় ...

[ad_1] বাউন্ডেলের আত্মকাহিনি [ ক ] [বাঙালি পলটনের একটি বওয়াটে যুবক আমার কাছে তাহার কাহিনি বলিয়াছিল নেশার ঝোঁকে : নীচে তাহাই লেখা হইল। সে বোগদাদে ...

[ad_1] রিক্তের বেদন [ ক ] বীরভূম আঃ! একী অভাবনীয় নতুন দৃশ্য দেখলুম আজ? … জননী জন্মভূমির মঙ্গলের জন্যে সে-কোন্-অদেখা-দেশের আগুনে প্রাণ আহুতি দিতে ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ২৮ (শেষ) ভাই বুঁচি, আমি যদি আজ আমার পরিচয় দিই-আমি তোদের সেই রুবি, তাহলে বিশ্বাস করবি? আমার বাপ মাও জানেন আর তোরাও হয়তো ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ২৭ পাড়ার প্রায় শতাধিক ক্ষুধাতুর শিশুকে পরিপাটি করে মেজোবউ খাইয়ে-দাইয়ে বিদায় করে যখন লতিফার বাড়ি এসে দাঁড়াল, তখন সন্ধ্যা ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ২৬ পাড়ার লোকে মেজোবউকে দেখলেই বলে, “ও রাক্ষুসি! ওর বুকে শুধু লোহা আর পাথর!” খোকা চলে গেছে। মেয়ে পটলিকে নিয়ে মেজোবউ আবার ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ২৫ মেজোবউ ঝড়ের মতো প্যাঁকালের ঘরে এসে ডেকে উঠল, ‘কুর্শি’! মেজোবউয়ের এমনতর স্বর কুর্শি কখনও শুনে নাই। সে ভয় পেয়ে বেরিয়ে ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ২৪ বরিশাল। বাংলার ভিনিস! আঁকাবাঁকা লাল রাস্তা। শহরটিকে জড়িয়ে ধরে আছে ভুজ-বন্ধের মতো করে। রাস্তার দু-ধারে ঝাউগাছের সারি। ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ২৩ বহুদিন পরে লতিফার মুখে হাসি দেখা দিল। নাজির সাহেব অফিস থেকে এসেই ঘুমন্ত লতিফাকে তুলে বললেন, ‘ওগো, শুনেছ? রুবির যে নদিয়ার ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ২২ সেই মাটির পুতুলের কৃষ্ণনগর! সেই ধুলা-কাদার চাঁদ-সড়ক! শুধু সড়কই আছে, চাঁদ নেই! সবাই বলে, দুদিনের জন্য চাঁদ উঠেছিল, রাহুতে ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ২১ পরদিন সকালে না হতেই কৃষ্ণনগরে একটা হইচই পড়ে গেল! দলে দলে পুলিশ এসে কৃষ্ণনগরের বিভিন্ন বাড়িতে খানাতল্লাশ করতে লাগল। বহু ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ২০ পরদিন যখন সন্ধ্যায় অন্ধকার বেশ গাঢ় হয়ে এসেছে তখন মেজোবউ গায়ে বেশ করে চাদর জড়িয়ে নাজির সাহেবের বাড়ির দিকে চলতে লাগল। ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ১৯ চাঁদসড়কে সেদিন ভীষণ একটা হইচই পড়ে গেল, মেজোবউ তার ছেলেমেয়ে নিয়ে খ্রিস্টান হয়ে গেছে। সত্যি-সত্যিই সে খ্রিস্টান হয়ে গেছে। ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ১৮ এরপর দু তিন দিন কেটে গেছে। এবং এই দু তিন দিন আনসার গোরুর গাড়ির গাড়োয়ান, ঘোড়ার গাড়ির কোচোয়ান, রাজমিস্ত্রি, কুলি-মজুর, ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ১৭ শেষের দিকটায় আনসার যেন কেমন অভিভূত হয়ে পড়ল। তারপর একটু সামলে নিয়ে বলতে লাগল, “আমি এখানে কেন এসেছি জানিস? জেল থেকে ফিরে ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ১৬ চা খাওয়া হলে পর লতিফা বলে, “দাদু, তুমি তোমার ওই কাবলিওয়ালার পোশাক খুলে ফেল দেখি। কী বিশ্রী দেখাচ্ছে! মাগো! ওই ময়লা গদ্ধর ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ১৫ চাঁদ-সড়কে সেদিন বেশ একটু চাঞ্চল্যের সাড়া পড়ে গেল। লক্ষীছাড়া-মতো চেহারার লম্বা-চওড়া একজন মুসলমান যুবক কোত্থেকে এসে সোজা ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ১৪ পরদিন সকালে কেউ উঠবার আগেই মেজোবউ তার ছেলেমেয়েকে নিয় মিস জোন্সের কাছে চলে গেল। যাওয়ার আগে শুধু বড়োবউকে চুপি চুপি বলে ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ১৩ সেজোবউয়ের খোকাকেও আর বাঁচানো গেল না। মাতৃহারা নীড়-ত্যক্ত বিহগ-শিশু যেমন করে বিশুষ্ক চঞ্চু হাঁ করে ধুঁকতে থাকে, তেমনই করে ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ১২ একদিকে মৃত্যু, একদিকে ক্ষুধা। সেজোবউ আর তার ছেলেকে বাঁচাতে পারা গেল না। ওর শুশ্রূষা যেটুকু করেছিল সে শুধু ওই মেজোবউ আর ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ১১  “ঝড় আসে নিমেষের ভুলে।” জীবনের কোন পথ দিয়ে কখন বিপর্যয় আসে, মুহূর্তের জন্যে – নিমেষে সব ওলট-পালট করে দিয়ে যায় –বন্ধনের ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ১০ সেদিন রবিবার। ছুটি। প্যাঁকলের গোটা দুয়েকের সময় স্নান করতে বেরুল। বেরুবার আগে তেলের শূন্য শিশিরটা অনেকক্ষণ ধরে উলটে রাখলে ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ০৯ সেদিন বড়োবউ, প্যাঁকালে, তার মা আর পাঁচিতে মিলে একটা গোপন পরামর্শসভা বসেছিল। প্যাঁকালের অতিমাত্রায উত্তেজিত হয়ে বললে, ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ০৮ সেদিন ঘিয়াসুদ্দিন শ্বশুরবাড়ি এসেছে। মেজোবউও বোনাইকে দেখলতে এসেছে। ও-ই এসেছে কিংবা ওর বোনাই-ই আনিয়েছে – এই দুটোর ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ০৬ হঠাৎ সেদিন সেজোবউয়ের অবস্থা একেবারে যায়-যায় হয়ে উঠল। ‘ছিটেন’পাড়ার নকড়ি ডাক্তার তাঁর বৈঠকখানাটা বিনি পয়সায় চুনকাম করে ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ০৫ সন্ধে হব-হব সময় প্যাঁকালে হাতে চাল-ডাল, বগলতলায় ফুটগজ, পকেটে কন্নিকসুত, আর মুখে পান ও বিড়ি নিয়ে ঘরে ঢুকল। ছেলেমেয়ে তাকে ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ০৪ প্যাঁকালে চলে যাওয়ার পরই তার দ্বাদশটি ক্ষুধার্ত ভাইপো-ভাইঝি মিলে বিচিত্র সুরে ‘ফরিয়াদ’করতে লাগল ক্ষুধার তাড়নায়, তাতে ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ০৭ দিন যায়, দিন আসে, আবার দিন যায়। এরই মধ্যে একদিন গজালের মা চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে ঘরে ঢুকে একেবারেই মেজোবউয়ের পায়ের ওপর ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ০২ গজালের মা-র ছোটোছেলে প্যাঁকালে টাউনের থিয়েটার-দলে নাচে, সখী সাজে, গান করে। কাজও করে –রাজমিস্তিরির কাজ। বাবু-ঘেঁষা হয়ে ...

[ad_1] কুহেলিকা – ২০ (শেষ) বজ্রপাণি, প্রমত্ত প্রভৃতির সাথে জাহাঙ্গীরেরও দ্বীপান্তর হইল। তাহার সত্যকার নাম প্রকাশ পাইল না। জাহাঙ্গীর তাহার নাম ...

[ad_1] মৃত্যুক্ষুধা – ০৩ এই সব ব্যাপারে কাজে যেতে সেদিন প্যাঁকালের বেশ একটু দেরি হয়ে গেল। তারই জুড়িদার আরও জন তিন-চার রাজমিস্তিরি এসে তাকে ...

[ad_1] কুহেলিকা – ১৯ এদিকে জাহাঙ্গীরের মাতা হাওড়া স্টেশনে পঁহুছিয়া জাহাঙ্গীর ও চম্পাকে দেখিতে না পাইয়া এবং হারুণের কাছে সমস্ত শুনিয়া মাথায় হাত ...

[ad_1] কুহেলিকা – ১৮ গাড়ি বর্ধমানে আসিয়া পঁহুচিতেই কাহাদের চঞ্চল স-বুট পদশব্দে জাহাঙ্গীরের ঘুম ভাঙিয়া গেল। জাহাঙ্গীর উঠিয়া দেখিল, সকলে ঘুমাইয়া ...

[ad_1] কুহেলিকা – ১৭ স্টেশনে পঁহুছিয়াই জাহাঙ্গীর দেখিল, সারা গায়ে ভস্ম-বিভূতি মাখা জটাজূটধারী এক পৌনে-ষোলো-আনা নাগা সন্ন্যাসী তাহার চিমটার ...

[ad_1] কুহেলিকা – ১৬ সকালে উঠিয়া ভূণীর মনে হইল, তাহার সকল দর্পের অবসান হইয়াছে। আজ সে পথের ভিখারিনি। দুই হাত পাতিয়া এখন তাহাকে ভিক্ষার তণ্ডুলকণা ...

[ad_1] কুহেলিকা – ১৫ বর্ধমান স্টেশনে নামিয়া জাহাঙ্গীর মউলবি সাহেবকে লইয়া ‘রিফ্রেশমেন্ট রুমে’ ঢুকিয়া পড়িল। সৌভাগ্যবশত তাহারা দুই জন ছাড়া আর কেহ ...

[ad_1] কুহেলিকা – ১৪ জাহাঙ্গীর সুখ ও দুঃখের নানা স্বপ্ন দেখিতে দেখিতে কখন ঘুমাইয়া পড়িয়াছিল। জাগিয়া দেখিল, তাহার মাতা শিয়রে বসিয়া অতন্দ্রনয়নে ...

[ad_1] কুহেলিকা – ১৩ জাহাঙ্গীর আসিয়া পৌঁছাইতেই তাহার মাতা একেবারে তাহাকে বুকে জড়াইয়া কাঁদিয়া ফেলিলেন, ‘খোকা, এ কী চেহারা হয়েছে তোর?’ জাহাঙ্গীর ...

[ad_1] কুহেলিকা – ১২ জাহাঙ্গীর কলিকাতা ফিরিয়া আসিয়াই দেখে দুই তিনখানা টেলিগ্রাম আসিয়া পড়িয়া আছে। একখানা দেওয়ানজির, দুইখানা তাহার মায়ের প্রেরিত। ...

[ad_1] কুহেলিকা – ১১ জাহাঙ্গীরের জীবনে এই প্রথম গোরুর গাড়ির অভিজ্ঞতা। জাহাঙ্গীর যখন বলিল, সে কিছুতেই তাহার বোঝা আর এক জন মানুষের অর্থাৎ কুলির ...

[ad_1] কুহেলিকা – ১০ সন্ধ্যার পূর্বেই জাহাঙ্গীর গোরুর গাড়িতে চড়িয়া শিউড়ি চলিয়া গেল। সন্ধ্যার বিষণ্ণতা এমন করিয়া বুঝি আর কখনও নামে নাই হারুণদের ...

[ad_1] কুহেলিকা – ০৮ পরদিন অসহ্য গরমে অতি প্রত্যুষেই জাহাঙ্গীরের ঘুম ভাঙিয়া গেল। সে উঠিয়াই বাহিরবাটী হইতে হারুণকে চিৎকার করিয়া ডাকাডাকি আরম্ভ ...

[ad_1] কুহেলিকা – ০৯ কালবৈশাখীর মেঘ এমনি করিয়াই দেখা দেয়। যেখানে দুঃখের বরষা, বজ্রপাতও হয় সেইখানেই। শান্ত নদীতীরে তারও চেয়ে শান্ত ভগ্নকুটির এমনি ...

[ad_1] কুহেলিকা – ০৬ শিউড়ি যখন তাহারা পঁহুছিল, তখন রাত্রি বেশ ঘনাইয়া আসিয়াছে। হারুণ বলিল, ‘এখন, কী করা যায় বলো তো? এখানেই রাত্রিটা কাটিয়ে দেবে না ...

[ad_1] কুহেলিকা – ০৫ গ্রীষ্মের ছুটি হইয়া গিয়াছে। ছাত্রদের যৌবনোন্মুখ মন অকারণ সুখে কানায় কানায় পুরিয়া উঠিয়াছে। তাহারা আজ তাহাদের সুদূর পল্লির ...

[ad_1] কুহেলিকা – ০৪ স্বদেশমন্ত্রে দীক্ষা লওয়ার কয়েক মাস পরেই জাহাঙ্গীরের পিতা খান বাহাদুর ফররোখ সাহেবের হৃদরোগে মৃত্যু হইল। জাহাঙ্গীর তখন পঞ্চদশ ...

[ad_1] কুহেলিকা – ০৩ তখন স্বদেশযুগের বান ডাকিয়াছে। ইংরেজ তাহার রাজত্ব ভাসিয়া যাওয়ার ভয় না করিলেও ডুবিয়া যাওয়ার আশঙ্কা একটু অতিরিক্ত করিয়াই ...

[ad_1] কুহেলিকা – ০২ মেসে যা-ই বলিয়া ডাকুক, আমরা উলঝলুলকে জাহাঙ্গীর বলিয়াই ডাকিব। জাহাঙ্গীরের পৈতৃক বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। তবে সে কলিকাতায় থাকিয়াই ...

[ad_1] কুহেলিকা – ০৭ ভোর না হইতেই একটা দুরন্ত কোকিলের ডাকে হারুণের ঘুম ভাঙিয়া গেল। সারারাত্রি সে নেশাখোরের মতো ঘুমাইয়াছে, পাশ পর্যন্ত ফিরে নাই। ...

[ad_1] দেশ ।। কাওয়ালি বহিছে সাহারায় শোকের 'লু' হাওয়া দুলে অসীম আকাশ আকুল রোদনে। নূহের প্লাবন আসিল ফিরে যেন ঘোর অশ্রু শ্রাবণ-ধারা ঝরে সঘনে।। হায় ...

[ad_1] এল শোকের সেই মোহররম কারবালার স্মৃতি লয়ে। আজি বে-তাব বিশ্ব-মুসলিম সেই শোকে রোয়ে রোয়ে।। মনে পড়ে আসগরে আজ পিয়াসা দুশের বাচ্চায় পানি ...

[ad_1] শুকনো পাতার নূপুর পায়ে নাচিছে ঘুর্ণিবায়। জল তরঙ্গে ঝিলমিল ঝিলমিল ঢেউ তুলে সে যায়।। দীঘির বুকের শতদল দলি, ঝরায়ে বকুল চাঁপার কলি, চঞ্চল ...

[ad_1] রাগ: সিন্ধু–কাফি ।। তাল: লাউনি গুল-বাগিচার বুলবুলি আমিরঙিন প্রেমের গাই গজল!অনুরাগের লাল শারাব মোরচোখে ঝলে ঝলমল।। আমার গানের মদির ...

[ad_1] তিলক-কামোদ ।। রূপক ।। ভালোবাসার ছলে আমায় তোমার নাম গাওয়ালে।চাঁদের মতন সুদূর থেকে সাগরে মোর দোল খাওয়ালে।। কাননে মোর ফুল ফুটিয়ে উড়ে গেলে ...

[ad_1] বল রে জবা বল।কোন সাধনায় পেলি শ্যামা মায়ের চরণতল।। মায়া–তরুর বাঁধন টুটেমায়ের পায়ে পড়লি লটেমুক্তি পেলি, উঠলি ফুটে আনন্দ–বিহ্বল!তোর ...

[ad_1] গানগুলি মোর আহত পাখির সম লুটাইয়া পড়ে তব পায় প্রিয়তম।। বাণ বেধা মোর গানের পাখিরে তু’লে নিও প্রিয় তব বুকে ধীরে, লভিবে মরণ চরণে তোমার সুন্দর ...

[ad_1] দিকে দিকে পুন জ্বলিয়া উঠেছে দীন-ই-ইসলামী লাল মশাল। ওরে বে-খবর, তুইও ওঠ্‌ জেগে, তুইও তোর প্রাণ-প্রদীপ জ্বাল।। গাজী মুস্তফা কামালের সাথে ...

[ad_1] কেন প্রাণ ওঠে কাঁদিয়া কাঁদিয়া কাঁদিয়া কাঁদিয়া গো। আমি যত ভুলি ভুলি করি তত আঁকড়িয়া ধরি, তত মরি সাধিয়া, সাধিয়া সাধিয়া সাধিয়া গো! ...

[ad_1] কেন কাঁদে পরান কী বেদনায় কারে কহি। সদা কাঁপে ভীরু হিয়া রহি রহি।। সে থাকে নীল নভে আমি নয়ন-জল-সায়রে সাতাশ তারার সতিন-সাথে সে যে ঘুরে ...

[ad_1] ভুলি কেমনে আজো যে মনে বেদনা-সনে রহিল আঁকা আজো সজনী দিন রজনী সে বিনে গনি সকলি ফাঁকা।। আগে মন করলে চুরি মর্ম্মে শেষে হানলে ছুরি, এত শঠতা এত ...

[ad_1] বসিয়া বিজনে কেন একা মনে পাণিয়া ভরণে চল লো গোরী চল জলে চল কাঁদে বনতল, ডাকে ছলছল জল-লহরী।। দিন চলে যায় বলাকা-পাখায়, বিহগের বুকে বিহগী ...

[ad_1] আমারে চোখ-ইশারায় ডাক দিলে হায় কে গো দরদি।খুলে দাও রঙ-মহলার তিমির-দুয়ার ডাকিলে যদি।। গোপনে চৈতী হাওয়ায় গুল্‌-বাগিচায় পাঠালে লিপি,দেখে তাই ...

[ad_1] বাগিচায় বুলবুলি তুই ফুলশাখাতে দিসনে আজি দোল। আজো তার ফুল কলিদের ঘুম টুটেনি তন্দ্রাতে বিলোল।। আজো হায় রিক্ত শাখায় উত্তরী বায় ঝুরছে নিশিদিন, ...

[ad_1] আজ চোখের জলে প্রার্থনা মোর শেষ বরষের শেষে যেন এমনি কাটে আস্‌ছ-জনম তোমায় ভালোবেসে। এমনি আদর, এমনি হেলা মান-অভিমান এমনি খেলা, এমনি ব্যথার ...

[ad_1]

[ad_1] [আরবি ‘মোতাকারিব্’ ছন্দ] দোদুল দুল্ দোদুল দুল্! বেণীর বাঁধ আলগ্-ছাঁদ, আলগ্-ছাঁদ খোঁপার ফুল, কানের দুল খোঁপার ফুল দোদুল দুল্ দোদুল দুল! ...

[ad_1]

[ad_1]